৫আগস্টের পর জুলুমবাজ ও স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। আর এ সুযোগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে একটি মহল কোনো কোনো স্থানে অন্য ধর্মালম্বীদের ওপর হামলা সহ মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রকৃত মুসলমান কখনো এ ধরনের সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা ঘটাতে পারে না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সর্বদা এ ধরনের ঘটনাকে ধিক্কার জানায়। এদেশে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ সহ সকল ধর্মের লোকজনের বসবাসের সমান অধিকার রয়েছে। তাই জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সনাতন ধর্মালম্বী সহ অন্যান্য ধর্মালম্বীর সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নির্বিঘেœ উদযাপন করতে সহযোগিতা করে আসছে এবং আগামীতেও করবে। গত ৩০সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে দুপচাঁচিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ শাহাবুদ্দিন এ কথাগুলো বলেন। উপজেলা চাউল কল মালিক সমিতি কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা জামায়াতের আমীর মুনসুর আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আশরাফ আলীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা পশ্চিম অ লের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল হক সরকার। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুদ মিয়া, বর্তমান নায়েবে আমীর মাওঃ ওমর আলী, সাবেক আমীর আব্দুল গনি মন্ডল, কর্মপরিষদ সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মাদ আবু তাহের, কর্মপরিষদের সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মজিবর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা জামায়াত নেতা আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুমার দাস, হাটখোলা কালী মন্দিরের উপদেষ্টা নয়ন চন্দ্র দাস, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধা খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রথিন্দ্রনাথ বসাক কালা, সাধারণ সম্পাদক ছোটন চক্রবর্তী, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি শিবেন চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক দুলাল চন্দ্র বসাক, উপজেলা কেন্দ্রীয় মন্দির কমিটির সভাপতি দ্বিজেন্দ্রনাথ বসাক মন্টু, ব্যবসায়ী রমেন বসাক, দুপচাঁচিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ফারুক, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দ কুমার দাস প্রমুখ। সভা শেষে উপজেলার ৪০টি দুর্গাপূজা মন্ডপ নেতৃবৃন্দের হাতে উপজেলা জামায়াতের পক্ষ হতে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এসময় উপজেলার ৪০টি পূজা মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।