টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন টেকিপাড়া এলাকায় বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে অনশন করছে এক গৃহবধূ।
রবিবার (১৫সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বৃষ্টিতে ভিজে বিয়ের দাবীতে ছামান আলীর ছেলে ফরিদের বাড়ির গেটের সামনে অনশন করছে পাশের বাড়ির গৃহবধূ রাবেয়া বেগম।
জানা যায়, পাশের বাড়ির গৃহবধূ রাবেয়া বেগমের সাথে ফরিদের দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। ইতিপূর্বে কয়েকবার তাদের পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলেও পারিবারিক ভাবে তা গোপনে সমাধান করা হয়।
সর্বশেষ গত বুধবার(১১সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে রাবেয়ার স্বামীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পারুল বেগম ছাগল খুঁজতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী মসজিদের ওজুখানার সাথে ফরিদ ও রাবেয়াকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় দেখতে পায়।
পরবর্তীতে সে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার স্বামীর সাথে শেয়ার করে। রাবেয়ার স্বামী ঘটনা শুনে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে ফরিদের বাবা মাতব্বরগনদের নিয়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য রবিবার সকালে দুপক্ষকে নিয়ে বসেন।
কিন্তু রাবেয়ার স্বামী আঃ বাসেদ তার স্ত্রীকে আর কোনো ভাবেই ঘরে তুলে নিবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে কাজী এনে আঃ বাসেদ তার স্ত্রী রাবেয়াকে খোলা তালাক দেয়।
পরবর্তীতে রাবেয়া কোনো উপায়ন্তর না দেখে ফরিদের বাড়িতে গিয়ে উঠেন কিন্তু বাড়ির লোকজন তাকে বের করে দিয়ে গেইট আটকিয়ে দেন। অসহায় রাবেয়া বেগম সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ির গেটের সামনেই বসে আছেন তার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে।
রাবেয়া জানান, আমি যার জন্য স্বামী সন্তান হারিয়েছি সে আমাকে গ্রহন না করলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করবো। তিনি বলেন, ফরিদের জন্য আমার সংসার ভেঙেছে, সে আমার জীবন নষ্ট করে পালিয়েছে, আমি তার বিচার চাই।