বগুড়ার শেরপুরের শুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ে চাঁদা দাবি করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও
স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ২ সেপ্টেম্বর সোমবার সাড়ে ১২ টায় কথিত ৪
সাংবাদিক আব্দুল হালিম (৪০), মোক্তার শেখ (৪৫), রায়হান পারভেজ কমল (৩৯) ও
মাসুদ রানা (৩০) কে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। কথিত
সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গেলে আবু বকর সিদ্দিক ও মো. সেতুও
গণধোলাইয়ের শিকার হয়। এ ঘটনায় শেরপুর থানায় চাঁদাবাজির মামলা
দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মারিয়া গ্রামের মৃত
ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. আব্দুল হালিম, সদর উপজেলার শিববাটি গ্রামের
রোস্তম আলী শেখের ছেলে মোক্তার শেখ, শেরপুর পৌর শহরের মৃত সিরাজ খানের
ছেলে রায়হান পারভেজ কমল ও শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ঘুটু বটতলা গ্রামের
মো. মাসুদ সহ আরো কয়েকজন কথিত সাংবাদিক খানপুর ইউনিয়নের শুবলী
উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারজানা ইসলামের কাছে অনৈতকভাবে চাঁদা
দাবি করে। এ সময় তাদের মধ্যে বাক বিতন্ডা হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও
স্থানীয় লোকজন এসে তাদের গণধোলাই দিয়ে ৩ জনকে বিদ্যালয়ে আটকে
রাখে। অন্যরা সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়। পরে সাংবাদিক আবু বকর
সিদ্দিক ও মো. সেতু তাদের উদ্ধার করতে গেলে তারাও গণধোলাইয়ের শিকার
হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের যাওয়ায় শেরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে
দিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর সোমবার
রাতে শুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. ফারজানা ইসলাম বাদি হয়ে
শেরপুর থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে শুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. ফারজানা ইসলাম
বলেন, তারা হুসনাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিকের
পরিচয় দিয়ে সহকারী শিক্ষক উম্মে কুলছুমের কাছে ৫ হাজার টাকা, শুবলী
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী মাসুদ রানার কাছে ২০ হাজার ও জাহানারা খাতুনের
কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে আমার প্রতিষ্ঠানে এসে আমাকেও
নানা ভয়ভীতি দেখায় এবং ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তারা
সাংবাদিক হয়ে তথ্য সংগ্রহ না করে চাঁদাবাজি করে বেড়ায় এটি কেমন
কথা।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম রেজা বলেন,
আটককৃত ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা অন্যদের
আটকের চেষ্ট চলছে।